যে শব্দে অব্যয় যুক্ত হয়ে সমাস নিষ্পন্ন হয় ,তাই অব্যয়ীভাব । অর্থাৎ সমস্ত
পদে অব্যয় / উপসর্গ যুক্ত থাকলে তা অব্যয়ীভাব সমাস । সেজন্য অব্যয় ও উপসর্গ
সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে ।
অব্যয়ীভাব সমাস চিনতে হলে প্রথমে অব্যয়কে চিনতে হবে ।
অব্যয় শব্দঃ
আর , ও ,না , যদি , যথা , সহসা ,
আবার ,কদাপি , অথবা , নতুবা ,এমন , অতএব ইত্যদি / উপসর্গ (উপসর্গ হচ্ছে অব্যয়সূচক শব্দাংশ)।
এখানে অব্যয়ের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হল ।
অব্যয় পদঃ অব্যয় পদের নিম্নলিখিত বৈশিষ্টগুলো থাকবে ।
১।
যে পদে বিভক্তি বা প্রত্যয় সংযুক্ত করা যায় না
২ । বচন হয় না
৩ । লিঙ্গান্তর করা যায় না
৪ । যার পরিবর্তন হয় না অর্থাৎ অপরিবর্তনীয়
কিভাবে চেনা যাবে
অব্যয়ীভাব সমাস –
অব্যয়/উপসর্গ + মূলশব্দ
= অব্যয়ীভাব
অপবাদ = অপকৃষ্ট বাদ (বাদ মূল শব্দ )
অপকীর্তি = অপকৃষ্ট কীর্তি (কীর্তি - এখনে মূল শব্দ )
অপকীর্তি = অপকৃষ্ট কীর্তি (কীর্তি - এখনে মূল শব্দ )
দুর্গন্ধ = মন্দ গন্ধ দুর্দিন = মন্দ দিন ( এখানে দূর' উপসর্গ )
দুর্বাক্য = মন্দ বাক্য দুরতিক্রম্য = দুঃখ-কষ্টে অতিক্রম্য
পরিজন =পরিগত/আপন জন বিতৃষ্ণা = বিগত তৃষ্ণা
বিমিশ্র = বিশেষ ভাবে মিশ্র হররোজ = রোজ রোজ
ঘোলাটে = ঈষৎ ঘোলা ফিকানীল = ঈষৎ নীল
হা-ঘর = ঘরের অভাব বেহায়া = হায়ার অভাব
নিরামিষ = আমিষের অভাব অতিমানব = মানবকে অতিক্রান্ত
অতীন্দ্রিয় = ইন্দ্রিয়কে
অতিক্রান্ত অতিপ্রিয় = অত্যধিক প্রিয়
দুর্জন = মন্দ জন দুর্বুদ্ধি = মন্দ বুদ্ধি
দুর্নীতি = মন্দ নীতি বিনম্র = বিশেষভাবে নম্র
বিপথ = নিকৃষ্ট পথ ফি বছর = বছর বছর
গরমিল = মিলের অভাব লম্বাটে = ঈষৎ লম্বা
ফিকালাল = ঈষৎ লাল হা-ভাত = ভাতের অভাব
(বিঃদ্রঃ এখানে অব্যয়/ উপসর্গকে আলাদা করার জন্য কিছু সমস্তপদের কিছু শব্দাংশকে রঙ মেশানো হয়েছে ) । গরমিল ,বিপথ , অতিপ্রিয় , হা-ঘর ইত্যাদি । শব্দে গোলাপী বর্ণের শব্দগুলো হচ্ছে অব্যয়/ উপসর্গ ।এখন আপনারা সমস্ত পদ থেকে অব্যয়/ উপসর্গ আলাদা করতে পারবেন ।
সমান চিহ্নের পরের অংশটি হচ্ছে ব্যাসবাক।।
0 Comments